শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
টেকনাফ ছাড়াও এবার নতুন করে উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জমিতে নির্মিত আওয়ামী লীগের অফিস উচ্ছেদ সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠণ সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসির সড়ক অবরোধ পাহাড়ী আস্তানা থেকে মালয়েশিয়া পাচারকালে শিশুসহ ৩১ জন উদ্ধার, দুই দালাল আটক সাবের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পিএস ফিরোজ কক্সবাজারে গ্রেপ্তার মিয়ানমারের বাঘগুনা খালের পাশে রয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী ও দুইটি ট্রলার, মাঝি-মাল্লা সহ ১১ জনের হদিস নেই মিয়ানমারের উপজাতি সম্প্রদায়ের ৬৫ নাগরিকের অনুপ্রবেশ চকরিয়ায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত : আটক ৪ চকরিয়ায় ফেরিওয়ালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কৌশল

অধ্যাপক প্রনব কুমার চৌধুরী

অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র থাকে। প্রতিদিনের খাবারে যেন আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান বেশি থাকে। শিশুকে নিয়মিত ফলমূল, শাকসবজি দিতে হবে।

অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

কোনো কোনো শিশুর পায়খানা খুব কষা। এরা প্রতিদিন নিয়মমতো মলত্যাগ করে না। করলেও পায়খানা এত শক্ত যে কান্না শুরু করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা খাদ্যাভ্যাসজনিত। একটু চেষ্টা করলেই সমাধান করা সম্ভব।

যেসব শিশু শুধু বুকের দুধ পান করে, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না বললেই চলে। গরুর দুধ কিংবা ফমুর্লা খাবারে এ সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে।

বুকের দুধের ওপর নির্ভরশীল শিশুরা দিনে ৫ থেকে ১০ বার অল্প অল্প পায়খানা করতে পারে। এটি স্বাভাবিক। কিছুদিন পরে আবার পুরো সপ্তাহে মাত্র একবার পায়খানাও করতে পারে। তা–ও স্বাভাবিক। এর জন্য ওষুধের প্রয়োজন নেই। এতে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না।

অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র থাকে
প্রতিদিনের খাবারে যেন আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান বেশি থাকে
শিশুকে নিয়মিত ফলমূল, শাকসবজি দিতে হবে

একটু বড় শিশুদের ক্ষেত্রে প্রতি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় একবার পায়খানা হওয়াটা স্বাভাবিক বলে গণ্য করা হয়। পায়খানা যদি অত্যন্ত শক্ত না থাকে, তবে তাকে কোষ্টকাঠিন্য বলা ভুল হবে। এর জন্য ওষুধ দেওয়ারও কোনো মানে নেই।

তবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তার চেহারা, জিব লক্ষ করতে হবে। শিশুর অস্বাভাবিক চেহারা, বৃহৎ জিব, নাভিতে হার্নিয়া, ঠিক বয়সে না হাসা, বসতে না পারা, হাঁটতে না শেখা, ঠিকভাবে না বাড়া এসব লক্ষণ থাকলে হাইপোথাইরয়েডিজম আছে কি না, পরীক্ষা করাতে হবে।

অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র থাকে। প্রতিদিনের খাবারে যেন আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান বেশি থাকে। শিশুকে নিয়মিত ফলমূল, শাকসবজি খাওয়াতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে কিছু ফল বা ফলের রস খাইয়ে দিতে পারেন। প্রচুর পানি পান করাতে হবে। শিশুকে খেলাধুলা করতে দিতে হবে।

লেখক: সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

( লেখাটি প্রথম আলো থেকে সংগৃহিত )

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888